ড. কামালের আসল রূপ বেরিয়ে গেছে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যেদিন হত্যা করা হয়, তখন তিনি ইংল্যান্ডে ছিলেন। উনি তারপর থেকে যা যা করেছেন সেটা আপনারা যদি দেখে থাকেন তাহলে বুঝবেন বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে উনি কোনও কাজ করেন নাই। আজকেও যেটা উনি করছেন সেটাও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে না। আজকে উনার আসল রূপটা বেরিয়ে গেছে। এখন তিনি যাদের সঙ্গে আছেন, আগে থেকেই তাদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। তিনি আজ নিজের মাস্ক (মুখোস) খুলে দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের আইনজীবীদের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব মানুষ চায় উন্নয়ন। তারা আর ধ্বংস-ফ্যাসাদ চায় না। কারণ বর্তমানে তারা অনেক শান্তিতে আছে এবং তাদের এখন অন্যের কাছে ভিক্ষা করতে হয় না। সেই অবস্থায় তারা পৌঁছেছে। এটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। শুধু ধরে রাখলে হবে না, সেটাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

‘’বঙ্গবন্ধুর কন্যা উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে সারা বিশ্বে আমাদের পরিচিত করে দিয়েছেন। আমরা চাই তার নেতৃত্বে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হোক। আমরা চাই, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার স্বপ্নের উন্নত দেশ হোক। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যদি এগিয়ে যাই তাহলে আসছে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের স্বপক্ষের দলকে পরাজিত করতে হবে। তাদের নির্মূল করতে হবে’,-বলেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, এই নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষের ও স্বাধীনতার বিরোধীদের মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছে। এই নির্বাচনে আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রত্যাখান করতেই হবে।আমরা ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেই স্বাধীনতা কাউকে নস্যাৎ করতে দেয়া হবে না। সেই স্বাধীনতা যেন আরও উজ্জ্বল হয়, শহীদদের মর্যাদা যেন আরও বাড়ে সেই চেষ্টা করতে হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম চেয়ারম্যান বিচারপতি মো.নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তৃতা করেন।