ডাকসুর ৫ জন সিনেট সদস্য মনোনয়ন বেআইনি ও নীতি বহির্ভূত, বর্জন হতে পারে অধিবেশন-ভিপি নুর

প্রকাশিত: ১১:০৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০১৯

ডাকসুর নির্বাচন এবং বাজেটের পর আজ মনোনয়ন করা হল সিনেট সদস্য।

অভিযোগ পাওয়া যায় যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) নির্বাচিত না হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।

ডাকসুতে নির্বাচিতদের মধ্যে ৩ জন সিনেট সদস্য হয়েছেন ৷ তাঁরা হলেন সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী ও সদস্য তিলোত্তমা শিকদার ৷

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন ,ডাকসুতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়নি, সেই প্রতিনিধিরা সিনেটে প্রতিনিধিত্ব করবেন।এটি আমি সমর্থন করি না৷ আসন্ন সিনেট সভা আমি বর্জন করতে পারি।

 

এই প্রসঙ্গে তিনি ফেইসবুকে পেইজে যা বলেন,পাঠকদের সুবিধার্থে হুবহু তুলে ধরা হলো-

ডাকসু থেকে ৫ জন সিনেট সদস্য মনোনয়ন করা প্রসঙ্গে ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে ডাকসুতে কোন অালোচনা বা মিটিং হয়নি।

৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী ডাকসু থেকে সিনেটে ৫ জন সদস্য মনোনীত হয়।ডাকসু থেকে কিভাবে ৫ জন সদস্য মনোনীত হবে ডাকসুর গঠনতন্ত্রে তার কোন স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকলেও বিগত ডাকসুর কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ভিপি-জিএস অন্যদের সাথে অালোচনা করেই ৫ জন সদস্যের নাম চূড়ান্ত করেছে।
ডাকসুর গঠনতন্ত্রে স্পষ্টভাবে বলা অাছে, ‘ভিপি সংসদের প্রধান নির্বাহী’।
অথচ ডাকসুর সদস্যদের সাথে কোন ধরণের অালোচনা, মিটিং না করেই এমনকি ভিপির সম্মতি ও স্বাক্ষর ছাড়াই জিএস নিজের পছন্দ মাফিক, ডাকসুর নির্বাচিত সদস্যও নয় এমন অনির্বাচিত ২ জনসহ ৫ জনের নাম উপাচার্য বরাবর প্রেরণ করে।উপাচার্য স্যারকে বিষয়টি অবহিত করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক এমন একটি বিতর্কিত প্রস্তাব গৃহীত হওয়া সম্পূর্ণ বেঅাইনি এবং নীতি বর্হিভূত।

এর মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডে ছাত্রলীগের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনৈতিক সমর্থনের বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে অারও স্পষ্ট হয়েছে”।