ডেস্ক রিপোর্ট : নির্বাচনে জোর করে জেতার চেষ্টা করলে জনগণ যদি ফুঁসে ওঠে, সেই পরিণতির জন্য ক্ষমতাসীনরা দায়ী থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।
রোববার বিকালে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে তার কার্যালয়ে নিজ নির্বাচনী এলালা বগুড়া-২ আসনে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও নির্যাতনের বিষয়ে অবহিত করতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মান্না বলেন, এখন পর্যন্ত বহু প্রার্থী গ্রেফতার হচ্ছে এবং নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়েও নানা নাটক উপস্থাপন করা হচ্ছে। যার ফলে সমগ্র বিশ্ব উদ্বিগ্ন হয়ে আছে। আজকে আমি পত্রিকায় দেখলাম জাতিসংঘ পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে যা চললে সেটা একটা নারকীয় পরিবেশ, এটা কোনো নির্বাচনী পরিবেশ নয়।
এভাবে নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীনরা এক পাক্ষিকভাবে ফিলাফল তাদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করবে। তখন জনগণ যদি ফুঁসে ওঠে, সেই পরিণতির জন্য ক্ষমতাসীনরাই দায়ী থাকবে।
আমি বলব মানুষের মধ্যে একটা দৃঢ়তা তারা এবার ভোট দিতে চায়। কিন্তু মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে, সেজন্য সব রকম সন্ত্রাস করে ক্ষমতাসীনরা ভোট ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।
মান্না বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকেই আমি আমার নির্বাচনি এলাকায় যাব। সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে আমি একটা কথা বলি, আমরা আগে বলতাম নির্বাচনী যুদ্ধ। আর এখন এটা নির্বাচনের নামে যুদ্ধই হচ্ছে। সরকার পক্ষ তাই করছে। রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হচ্ছে। সারাদেশে একই অবস্থা চলছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলি কিন্তু কোনো কাজ হয় না। শুধু কথা শোনে। আর বলে- যেমন আজকেও উনি বলেছেন, আচ্ছা এই কাগজটা আমি ডিসি সাহেবকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমি বললাম তারপর তদন্ত করতে যদি চারদিন লাগে? তাহলে তে ভোটই শেষ হয়ে যাবে। উনি বললেন, না তাড়াতাড়ি করবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অ্যাকশন আমি দেখতে পাইনি। আমরা সবাই মিলে অন্তত দুই-তিনবার নির্বাচন কমিশনের সাথে একসঙ্গে কথা বলেছি। এগুলোর কোনো ফলাফল আমরা পাইনি।
