চবি’র সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীর স্মৃতি বিজড়িত অনুভূতির প্রকাশ

প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী মো: কাজেমুল হাসান শাহেদ, তার প্রিয় বিদ্যাপীঠ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতি বিজড়িত অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তার অনুভূতি হুবহু প্রকাশ করা হলো।

নতুন বছরে নতুন রঙে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নবীনদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পায়। ক্যাম্পাস জুড়ে দেখা যায় একঝাঁক প্রাণবন্ত, চঞ্চল নতুন মুখ। ভর্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ক্যাম্পাসের অনুভূতিটা একজন শিক্ষার্থীর জীবনে অমূল্য স্মৃতি হয়ে থাকে,তেমনি আমার জীবনেও। চমৎকার সুন্দর নীলচে আকাশ, শারদীয় মেঘ, শিউলী ঝরা প্রভাত, প্রকৃতির সূচি শুভ্র উত্তরীয়তে প্রকৃতি যখন অনিন্দ্য সুন্দর, তখনই বিশ্ববিদ্যালয় নামক নতুন পৃথিবীতে আমার প্রথম আগমন। ক্যাম্পাসে যেদিন প্রথম আসি সেদিনের অনুভূতি অন্যরকম । স্বপ্নের ক্যাম্পাস! চারিদিকে নতুন মুখের সমাহার। সময়টা ছিল তখন ২০১৩ সালের শেষের দিকে ভর্তি হলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগে।সকালবেলা ষোলশহর থেকে শাটলে করে অচেনা ক্যাম্পাসে গেলাম। প্রথমেই নিজেকে একটা ভয় ভয় ভাব লাগছিল। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, নতুন ক্যাম্পাস একটু ভয় লাগবেই। অতপর নিজেকে ক্যাম্পাস জীবনে এগিয়ে নিতে শুরু করলাম। প্রিয় এই ইনস্টিটিউটে তিনটা বিষয়ে এ অনার্স করা যায় আমার পছন্দ মেরিন সায়েন্স তাই এইটাতেই নিজেকে মনোনিবেশ করলাম। প্রকৃতির এই পাহাড়ে ঘেরা ভার্সিটিতে এসে খুবই ভালো লাগলো। ২০১৪ সালের শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায়ই বিভাগ, ইন্সটিটিউট হলে দেখা হয়ে গিয়েছিল। খুবই ভালো লাগে যখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মনে পড়ে। কত মিস করি ক্যাম্পাসের সেই সোনালী দিন গুলো। আমার ডিপার্টমেন্টের স্যারেরা এতটাই আন্তরিক তা কখনো বলে শেষ করা যাবেনা। প্রিয় বিভাগের সকল প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা সবাই একে অন্যের সাথে খুব বেশিই মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান। স্যারেরা আর প্রাক্তন বড় ভাইয়ের মুখে শুনেছি উনারা মেরিন সায়েন্সকে একটা পরিবারের মতই দেখেন। এই মেরিন সায়েন্সের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যা আমাদের গৌরবের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কখনো গানে গানে ছড়িয়ে পড়ে তারুণ্যের উন্মাদনা, কখনো ছোটখাটো খেলায় মেতে ওঠে তারুণ্য ভরা সবুজ প্রাণ। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই মুখরিত হয় শিক্ষার্থীদের আড্ডা আর গানে। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে কিংবা পড়ন্ত বিকালে ক্যাম্পাসে ফুটে ওঠে এক দারুণ প্রতিচ্ছবি।
বিশ্ববিদ্যালয় বললেই চোখজুড়ে ভেসে ওঠে অসংখ্য স্বপ্নের বাস্তবতায় পরিণত পাখায় ভর করার এক রাজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর তার ক্যাম্পাস জীবনে রয়েছে হাজারো স্মৃতি। ক্লাসরুম,বিভিন্ন চত্বর, রাস্তা, ছোট্ট চায়ের দোকান, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা,উৎসবের আনন্দের দিনগুলো, এসবই স্মৃতির সাক্ষী।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এই অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না।সর্বোপরি বলতে চাই, আমার সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ, আমার ভালোবাসা। সবসময় সমুদ্র বিজ্ঞান পরিবারের জন্য অবিরাম ভালোবাসা ও শুভ কামনা।