‘গভর্নমেন্ট অব দ্য বিজিবি, বাই দ্য র‌্যাব অ্যান্ড ফর দ্য পুলিশ’

প্রকাশিত: ২:৪১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০১৯

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি


ডেস্ক রিপোর্ট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একতরফা নির্বাচনের মুখ্য উপাদান হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, মিথ্যা জয়ের জন্য ভোট জালিয়াতি করতে পানির মতো টাকা খরচ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। তারাই একতরফা নির্বাচনের মুখ্য উপাদান হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশে আর গণতন্ত্রের গৌরবোজ্জ্বল যুগ সৃষ্টি হল না। শেখ হাসিনার দল মানুষের ভোটে নয়, জিতেছে গায়েবি ভোটে।

তিনি বলেন, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে নতুন সরকার গঠন হবে তা হবে গভর্নমেন্ট অব দ্য বিজিবি, বাই দ্য র‌্যাব অ্যান্ড ফর দ্য পুলিশ। এই মহাডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে এরা ক্রমান্বয়ে উপহাস করছে। আওয়ামী নেতারা এখন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চাপাবাজি ও গলাবাজির জোরে ভোট নিয়ে মহাজালিয়াতির ঘটনা আড়াল করতে চাচ্ছে। কিন্তু দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে কিছুই এড়ায়ন

রিজভী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের চেয়েও কুৎসিত। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর দেশ আরও এক ধাপ তমসাচ্ছন্ন বর্বর যুগে প্রবেশ করল। নির্বাচনের নামে নিষ্ঠুর রসিকতা করে এখন জনপদের পর জনপদে ধানের শীষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর চলছে পৈশাচিক বর্বরতা। ভেঙে ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি, দোকান, বাজার। করা হচ্ছে অগ্নিসংযোগ। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া, এলাকাছাড়া, গ্রেফতারের রীতিমতো হিড়িক শুরু হয়েছে। নানা হয়রানিসহ শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। অনেকে নিহত হয়েছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-কৃষি খামার-সহায়-সম্পদের ওপর বেপরোয়া হানা দেয়া হচ্ছে অবিরাম।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গত ১০ বছর তো আওয়ামী লীগই ক্ষমতায়, তাহলে মিথ্যা জয়োল্লাসের বহিঃপ্রকাশে এত হিংসার ছবি কেন? এরা ধারাবাহিকভাবে অশান্তি জিইয়ে রেখে মানুষের জাগরণকে ঠেকানোর চেষ্টা করবে। সেজন্য তারা দর্শন হিসেবে বেছে নিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। তবে তাদের মনে রাখতে হবে, পতন কিন্তু দিনক্ষণ-তারিখ-মাস ঘোষণা দিয়ে আসে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।