কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, দেয়া হলো না জেডিসি পরীক্ষা
মোঃ আল আমিন হোসাইন মোঃ আল আমিন হোসাইন
সিনিয়র সম্পাদক
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এর এক পরীক্ষার্থীকে (১৪) অপহরণ করে আটকে রেখে তিন সপ্তাহ ধরে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই শিক্ষার্থী উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অপহরণের ২৬ দিন পর শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের দাইরগাঁও মাদরাসার সামনে ওই পরীক্ষার্থীকে অচেতন অবস্থায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা। ওই শিক্ষার্থী দাইরগাঁও দাখিল মাদরাসা থেকে চলতি জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।
পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার জানায়, গত ৬ অক্টোবর উস্থি ইউনিয়নের দাইরগাঁও গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে বিপ্লব (৩৫), পাশের কলুরগাঁও গ্রামের হেলাল উদ্দিন শেখের ছেলে শারফুল (২৬) এবং মুর্শিদ খানের ছেলে ওয়াসির খান (২৮) ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে। পরে অপহরণকারীরা ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্নস্থানে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এদিকে ওই মেয়েকে না পেয়ে তার বাবা পাগলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে হঠাৎ করে ২৫ দিন পর শুক্রবার ভোরে দাইরগাঁও মাদরাসার সামনের রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা। ভোরে স্থানীয়রা পরে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়।
শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে সামনে কথা হয় নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর বাবার সঙ্গে। এসময় তিনি বলেন, আমি দিনমজুর মানুষ। আমার তো কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। তাহলে ওরা কেন আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করেছে। আমি এদের কঠিন বিচাই চাই। মেয়েটার আজ (২ নভেম্বর) থেকে পরীক্ষা (জেডিসি) দেয়ার কথা ছিল। মেয়ে অসুস্থ থাকায় আর পরীক্ষা দিতে পারেনি। মেয়েকে নিয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি আছি। আজ (২ নভেম্বর) ডাক্তারি পরীক্ষা হইছে। এখনও রিপোর্ট দেয় নাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতা বলেন, এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।
পাগলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন, শনিবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।