ওরসের তবারক খেয়ে অসুস্থ সহস্রাধিক, ঘটনাস্থলে বিশেষ টিম

প্রকাশিত: ১০:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০১৯

ওরস মাহফিলের তবারক রান্না করা পাতিল। ছবি: টাইমস বিডি


ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ওরস মাহফিলের তবারক খেয়ে প্রায় সহস্রাধিক লোক অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় তারা অসুস্থ হওয়া রোগীদের আতংকিত না হয়ে দ্রুত সুস্থ হওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেন।

শনিবার বিকালে বিশেষ টিম ২০০ লোককে চিকিৎসা দিয়েছে। এ ছাড়া রোববার ও সোমবার পার্শ্ববর্তী মুন্সীরহাট উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিশেষ চিকিৎসাসেবা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

অন্যদিকে খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. আলী আফরোজ ও ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী শনিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে শনিবারও মতলব আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (মতলব কলেরা হাসপাতালে) ওই ওরসের তবারক খেয়ে অসুস্থ হওয়া লোকজন চিকিৎসা নেয়ার জন্য আসেন।

সূত্র জানায়, বিগত ৭৬ বছরের মতো এ বছরও (গত ৯ জানুয়ারি) স্থানীয় উভারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ওরস ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ফরিদগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলার ২-৩ হাজার লোক অংশ নেয়।

মাহফিল শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তবারক বিতরণ করা হয়। কিন্তু তবারক খেয়ে প্রায় সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এদের মধ্যে গত দুদিনে মতলব দক্ষিণ উপজেলা আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (মতলব কলেরা হাসপাতাল) তিন শতাধিক লোক চিকিৎসাসেবা নেয়।

যার মধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলারই শতাধিক লোক চিকিৎসা নেয় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আবুল সাদেক কাশেম জানান, তিনি গত দুই দিনে অন্তত তিন শতাধিক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।

ওরস মাহফিল কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, মাহফিলে তেহারি রান্নায় ব্যবহৃত পানি ও অন্যান্য উপকরণ পরীক্ষার জন্য চাঁদপুরে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাও. শারাফাত উল্ল্যা জানান, গত ৭৬ বছর ধরে উভারামপুরে এই ঐহিত্যবাহী ওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারই প্রথম তবারক খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম শিপন জানান, খাবার প্যাকেটজাত থাকায় খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের টিম আক্রান্তকারী ছাড়াও স্থানীয় লোকজনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।