ঐক্যফ্রন্টের এমপিদের শপথ নেয়ার খবর ভিত্তিহীন: গণফোরাম

প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত এমপিদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল। ফাইল ছবি


ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত এমপিদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল আছে বলে জানিয়েছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

বিজ্ঞপ্তিতে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তথা জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের লক্ষে জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছিল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য সুদৃঢ় ও অটুট আছে।

তিনি বলেন, গণফোরাম তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো কোনো নির্বাচিত সংসদ সদস্য সংসদে যোগদান করছে-এ ধরনের সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যা অসত্য ও ভিত্তিহীন।

গণমাধ্যমে পাঠানো গণফোরামের বিজ্ঞপ্তি

এর আগে, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জনগণের মতামত মূল্য দিতে শপথ নিচ্ছেন জানিয়ে সুলতান মনসুর বলেন, আমি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে আছি। এই সময়টাতে আমার নির্বাচনী এলাকা জনগণ, যারা শত ঝুঁকি নিয়েও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, সারাদেশের অনেক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মতও আমি নিয়েছি। আমি একজন মানুষও পাইনি যিনি আমার শপথের বিপক্ষে। সবাই একবাক্যে বলেছেন আমার নির্বাচনী এলাকার জনরায়কে মূল্য দিয়ে শপথ নিতে। যেহেতু জনগণের জন্য রাজনীতি করি সেহেতু জনগণের মতামতকে মূল্য দিতে হবে।

‘আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের যেমন আমার প্রতি প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি আমারও দায়বদ্ধতা রয়েছে তাদের মতের প্রতি’-যোগ করেন সুলতান মনসুর।

এদিকে সিলেট-২ আসনে নির্বাচিত মোকাব্বির খান শপথ নেয়ার বিষয়ে বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ নেয়ার বিষয়ে আমার নেতা ড. কামাল হোসেন সবসময় ইতিবাচক। আমরা দু’জনই (সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির) শপথ নেব।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পায়। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় ৮টি আসন।নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ও ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তে রয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল বিএনপির নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথ নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন প্রথমে শপথের পক্ষে সায় দিলেও ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।সবশেষ সেই সিদ্ধান্ত বদলে ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রতিনিধি শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।