এক অদম্য মানসিকতার নীরব ব্র‍্যান্ড রফিকুল হক

প্রকাশিত: ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২২

রফিকুল হক- এই নামটা সবার কাছে পরিচিত না হলেও যারা সেনা, নৌ কিংবা বিমান বাহিনী তে একবারের জন্যেও পরীক্ষা দেয় তারা ৫০% হলেও শুনে থাকে৷ তিনি একজন উদ্যোক্তা, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর পরিক্ষার্থীদের জন্য এক স্বপ্নের নাম৷

অনেকেই তার ইউটিউব ভিডিও দেখে বড় হয়৷ অনেকেই তাকে খুজতে থাকেন অবিরতভাবে৷ কিন্তু নীরব এই মানুষটা তার স্বপ্ন নিয়ে চলেন একদম চুপচাপ ভাবে৷

৩ লাখ ফলোয়ারের এই উদ্যোক্তার সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে আমরা দেখেছি তার চুপচাপ ধরণ, অতি বিনয় ও স্বপ্নের আত্নবিশ্বাসী কন্ঠ৷

কেন তিনি সামনে আসেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তার সামান্য উত্তর- ” আমি আয়মান ভাই বা সোলায়মান সুখন স্যারের মত বড় মানুষ নই, আমি নীরবে আমার কাজ করে যেতে চাই। যাতে আমার কাজ কথা বলে”

৩ লাখ ফলোয়ার আর কোন সামরিক উদ্যোক্তার আছে কিনা প্রতুত্তরে তিনি বলেন, “আমার জানামতে নেই৷ তবে এরাই আমাকে আমার আজকের জায়গায় তুলে নিয়ে এসেছে৷ এরাই আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷”

সামনের প্ল্যান কি? এমন উত্তরে তিনি বলেন, “নতুন কোম্পানি ভেঞ্চারাস প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট মানুষকে চেনানো এবং এখান থেকে আরো বেশি মানুষকে সেবা প্রদান করা৷ ”

তিনি এর সাথে আরও যোগ করেন,” শাহেদ শাওন ভাই, এয়ার কমোডর (অবঃ) মাহবুব জাহান, উইং কমান্ডার (অবঃ) কবির স্যার, মেজর সোমেন কান্তি বড়ুয়া স্যার,জুভেন স্যার, গোলাম কিবরিয়াদের কাছে আমি চিরকাল ঋণী। কারণ, তারা এই মার্কেটের অন্যতম লিডার।”

এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন ভেঞ্চারাস প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট এর অদম্য টিমের কথা। তিনি বলেন, ” প্রতিক, আরেফিন, ইশতিয়াক, তুষার, ফয়সাল, শান, নাজমুল- এরা আমাকে প্রতিদিন শেখায় কিভাবে কাজ করলে আরো ভালো ফলাফল আসবে”৷

“উদ্যোক্তার পথ সুগম নয়৷ কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ভেঞ্চারাস প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট আগামী ১ বছরের মধ্যে বর্তমান বাজারে তার জায়গা করে নিবে৷” – যোগ করেন রফিক৷

এই পথ শুরু কিভাবে হলো? জবাবে হেসে বললেন, ” বিএমএ থেকে পাওয়া বেতন আর মায়ের কাছ থেকে চার হাজার টাকা ধার করে। আমার মা এর কাছে আমি চিরকাল ঋণী থাকবো৷ উনিই আমাকে বিশ্বাস করতেন খুব৷ ”

আমরা সকল টিম মেম্বার রফিকুল হক এর আতিথেয়তায় মুগ্ধ৷

তাকে আমরা শেষ প্রশ্ন করলাম, ” আপনি কার সাথে একই স্টেজে কথা বলতে চান?” আবারো মুচকি হেসে রফিক সাহেব বললেন, ” আয়মান ভাই, খালিদ ফারহান ভাই, সুখন স্যার৷ জানিনা সুযোগ হবে কিনা৷ কিন্তু আমি সুযোগ করে নিবো৷ “