আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা, ১০ কারখানা বন্ধ

প্রকাশিত: ৪:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯

সরকার ঘোষিত মজুরি কাঠামো পুনর্নির্ধারণের পর টানা সাত দিন আন্দোলন শেষে আজ সোমবার সকালে কাজে যোগ দিলেও সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের ১০ কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভে নেমে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেছে।

বাইপাইল এলাকার ফাউনটেন কারখানার জিএম মাসুদ রানা শ্রমিকদের জানান, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী তারা বেতন দেবেন। তবে যে কদিন শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ রেখে রাস্তায় আন্দোলন করেছেন, সে কদিনের বেতন তারা দেবেন না। এ সময় শ্রমিকরা জিএম মাসুদের কথায় রাজি না হয়ে কাজে যোগ দেননি। ফলে কারখানার শ্রমিকরা আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন।

পরে টাঙ্গাইল জেলার এসপি মাসুদ রানার নেতৃত্বে এক দল পুলিশ তাদের কর্মস্থলে যেতে অনুরোধ জানালে তারা চলে যান।

বেলা ৯টার দিকে আশুলিয়ায় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, জামগড়া, বেরন ও নরসিংহপুর এলাকার বেশ কিছু করাখানার শ্রমিক একই ঘটনায় কারখানার ভেতরে প্রবেশ করার পর কাজ না করে বেরিয়ে যান।

এ ছাড়া জামগড়ার পলমল, হামীম, শারমিন গ্রুপ ও উইনডিসহ বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদানের পর আবারও বেরিয়ে যান। এসব শ্রমিক জামগড়া ছয়তলা এলাকায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

সাভার আমিনবাজারের তুরাগ এলাকার পোশাক কারখানাগুলো শান্ত রয়েছে। কয়েকটি কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।

সকাল ৯টায় একেএইচ পোশাক কারখানার এক শ্রমিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এমন গুজবের কারণে ওই কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।

পরে যখন তারা জানতে পারেন যে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত হয়নি, আহতের ঘটনা ঘটেছে, তখন আন্দোলনকারীরা ফিরে যান।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান জানান, সকালে আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দেন। সকাল ৯টার দিকে জামগড়া, নরসিংহপুর ও বেরন এলাকায় হামীম গ্রুপ, শারমিন গ্রুপ, এনভয় ও উইনডিসহ প্রায় ১০ কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন।

পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এসব কারখানার কর্তৃপক্ষ একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার থেকে সাভার ও আশুলিয়ার সব কারখানার শ্রমিকরা তাদের কাজে যোগ দেবেন বলে আশাবাদী।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।