আমিরাতও ঢোকতে দিল না, দেশে ফিরছেন ডা. মুরাদ!

প্রকাশিত: ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২১

নানা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে সম্প্রতি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়া সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে ঢুকতে দেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষও। প্রথমে কানাডায় ঢুকতে না পেরে আমিরাতে চেষ্টাও করেও ব্যর্থ হন তিনি। অগত্যা তাকে আবারো দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে। আমিরাতের দুবাই থেকে তিনি ঢাকায় ফিরছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, অন্য কোনো সমস্যা না হলে আজ রোববার, ১২ ডিসেম্বর, সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। এর দুই দিন পর গত ৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু তার কাছে কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকলেও কানাডায় প্রবেশ করতে দেয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, কানাডার বিমানবন্দরে পৌঁছালে ডা. মুরাদ হাসানকে দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি ঢুকতে দেয়নি। শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান আলোচিত-সমালোচিত মুরাদ। এরপর সেখানকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে মুরাদ হাসানকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অনেক কানাডিয়ান নাগরিক আপত্তি তোলায় তাকে সেদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর তাকে দুবাইগামী একটি প্লেনে তুলে দেওয়া হয়।

সূত্র জানাচ্ছে, দুবাই পৌঁছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করেন ডা. মুরাদ হাসান। কিন্তু ভিসা না থাকায় তাকে দেশটিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কোনো উপায়ান্তর না দেখে আবারো ঢাকার ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। একই সঙ্গে ঢাকায় আসার জন্য প্লেনের একটি টিকিটও কেটেছেন।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না রাখা, সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম না রাখা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তার সহধর্মিনী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে সম্প্রতিক আলোচনায় আসেন ডা. মুরাদ। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করেন তিনি।

এরই এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয়। যেখানে নায়িকা মাহির সঙ্গে অত্যন্ত অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন সরকারের এই তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে গত সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।