আমজাদ হোসেনের মরদেহ ঢাকায়, শায়িত হবেন মায়ের পাশে

প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে মরদেহ বহনকারী বিমানটি। এ বিষয়টি জানান, আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।

দোদুল জানান, এখন আদাবরের বাসায় রাখা হয়েছে মরদেহ। রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে আমজাদ হোসেনকে। সেখান থেকে শনিবার বেলা ১১টায় মরদেহটি নিয়ে যাওয়া হবে শহীদ মিনারে।

শনিবার বেলা ১১টায় গুণী এই নির্মাতার মরদেহ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে। এরপর বাদ জোহর তার প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসিতে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান পরিচালক অলিক। এফডিসিতে জানাজা শেষে জামালপুর নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে গুণী এই নির্মাতার মরদেহ। আমজাদ হোসেনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ হোসেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেয়া হয়েছিল তাকে।

প্রায় ৬৫ লাখ টাকা খরচের কারণে মরদেহ দেশে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিল আমজাদ হোসেনের পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আজ আমজাদ হোসেনকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান তার ছোট ছেলে সোহেল আরমান।

১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন আমজাদ হোসেন।পরবর্তী সময়ে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন।১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’ নির্মাণ করে প্রশংসা কুড়ান। টেলিভিশন নাটক, গান, কথাসাহিত্যেও আমজাদ হোসেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।