আওয়ামী লীগের ‘বিজয় উৎসব’ আজ

প্রকাশিত: ২:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশাল বিজয় উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ আজ। নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর দেশব্যাপী কোনো আনন্দ মিছিল ও বিজয় র‌্যালি করেনি আওয়ামী লীগ। তাই স্মরণীয় করে রাখার মতো সমাবেশের মধ্য দিয়েই বিজয় উৎসব পালন করবে দলটি।
দুপুর ২টায় মহাসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হবে। সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগামী দিনে দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরবেন সমাবেশে। দেবেন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও।
এ বিজয় সমাবেশে খাবারের পানি, পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সমাবেশস্থলে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সমাবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নেতাকর্মীদের মিছিলে বহন করে আনা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। উদ্যানের ৬টি গেটের মধ্যে শিখা চিরন্তন গেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনের গেট দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন। তিন নেতার মাজার সংলগ্ন গেট, বাংলা একাডেমির সামনের গেট, টিএসটি গেট ও চারুকলার সামনের গেট দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন।
এদিকে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অভাবনীয় বিজয় উদযাপনে অনুষ্ঠেয় ‘বিজয় সমাবেশ’-এর প্রস্তুতি দেখতে গতকাল শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের বিজয় উৎসব স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ ঘটবে বলেই তারা আশা করছেন। তিনি বলেন, এটা আওয়ামী লীগের ও শেখ হাসিনার সততার ফসল। সারা দেশ থেকে মানুষের ঢল নামবে। বিজয় সমাবেশ থেকে সরকারের কী বার্তা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয়ের পর সরকার তিনটি বিষয়ে খুব কঠোর। এবার বিজয় সমাবেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি বিরুদ্ধে সরকার আরো কঠোর হতে বলবেন।
এদিকে বিজয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বর্ধিতসভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, এটি বিজয় সমাবেশ, উৎসব নয়। সমাবেশ বর্ণিল কিন্তু সুশৃঙ্খল হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিশাল জয় পেয়ে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর দলের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় বসান নৌকার দলকে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি এবং দলটির নেতৃত্বে মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয় লাভ করে। এমন বিশাল বিজয় পেলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উদযাপন করেনি আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিজয়োল্লাস বা আনন্দ র‌্যালি না করার জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে বিজয় উৎসব করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।